উদ্ধৃতি এবং রচয়িতা
|
|||
» গীতায় শ্রী কৃষ্ণ বলেছেন, 'সকলেই মহান, সকলেই আমার প্রিয় কোন ভক্তই আমার অপ্রিয় নয় কিন্তু জ্ঞানী অত্যান্ত প্রিয় কারণ জ্ঞানি আমার আত্মস্বরূপ। » যিনি সমস্থ জীবের সুখ ও দুঃখকে নিজের সুখ-দুঃখ বলে মনে করেন আমার মতে তিনিই সর্বশ্রেষ্ট যোগী। » কাম, ক্রোধ ও লোভ এই তিনটি নরকের দ্বার স্বরূপ অতএব এই তিনটি ত্যাগ করা উচিত।'
» রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর তার আত্মত্রাণ কবিতায় বলেছেন, 'বিপদে মোরে রক্ষা কর এ নহে মোর প্রার্থনা, বিপদে আমি না যেন করি ভয়।' » কাজী নজরুল ইসলাম দারিদ্র কবিতায় বলেছেন, 'হে দারিদ্র, তুমি মোরে করেছ মহান। » তুমি মোরে দানিয়াছ খ্রীস্টের সম্মন। » কন্টক মুকুট শোভা।' » কৃষ্ণপন্দ্র মজুমদার তার মিত্যব্যয়িতাতে বলেছেন, 'যে জন দিবসে মনের হরষে জ্বালায় মোমের বাতি, আশু গৃহে তার, দেকিবেনা আর, নিশীথে প্রদীপ ভাতি।' » বহু মনিষিদের এমন অনেক বাণী যা আমাদের সুন্দরের পথ দেখায়, আদর্শের পতে চলার অনুপ্রেরণা যোগায়।
|
|||
উদ্ধৃতি | : |
গ্রন্থ, রচয়িতা | |
» | জ্ঞানের মত পবিত্র পদার্থ এই জগতে আর নাই। ** | : |
গীতা ৪/৩৮, শ্রী কৃষ্ণ |
» | যিনি সমস্থ জীবের সুখ ও দুঃখকে নিজের সুখ-দুঃখ বলে মনে করেন আমার মতে তিনিই সর্বশ্রেষ্ট যোগী। ** | : |
গীতা ৬/৩২, শ্রী কৃষ্ণ |
» | কোথায় স্বর্গ? কোথায় নরক? কে বলে তা বহুদূর? মানুষেরই মাঝে স্বর্গ-নরক মানুষেতে সুরাসুর। *** | : |
শেখ ফজলল করিম |
» | মরণ রে, তুঁইঁ মম শ্যাম সমান। *** | : |
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর |
» | সাম্যের গান গাই- আমার চক্ষে পুরুষ-রমণী কোনো ভেদাভেদ নাই। ** | : |
কাজী নজরুল ইসলাম |
» | বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর। *** | : |
নারী, কাজী নজরুল ইসলাম |
» | তুমি অধম, তাই বলিয়া আমি উত্তম হইব না কেন? *** | : |
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় |
» | মোদের গরব মোদের আশা, আ-মরি বাংলা ভাষা। *** | : |
আ মরি বাংলা ভাষা, অতুল প্রসাদ সেন |
» | দেখিনু সেদিন রেলে কুলি ব’লে এক বাবু সা’ব তারে ঠেলে দিল নীচে ফেলে। ** | : |
কাজী নজরুল ইসলাম |
» | ভাত দে হারামজাদা তা না হরে, মানচিত্র খাব। ** | : |
রফিক আজাদ |
» | সুন্দর হে, দাও দাও সুন্দর জীবন। হউক দূর অকল্যাণ সকল অশোভন। *** | : |
শেখ ফজলল করিম |
» | নিঃশেষে নিশাচর, গ্রাসে মহাবিশ্বে; ত্রাসে কাঁপে তরণীর পাপী যত নিঃশ্বে। * | : |
কাজী নজরুল ইসলাম |
» | আমি শুনে হাসি, আঁখিজরে ভাসি, এই ছিল মোর ঘটে, তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ, আমি আজ চোর বটে। *** | : |
দুই বিঘা জমি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর |
» | লোকে বলে, বলেরে, ঘর-বাড়ি ভালা না আমার। * | : |
হাসন রাজা |
» | গাহি তাহাদের গান, ধরণীর হাতে দিল যারা আনি ফসলের ফরমান। * | : |
জীবন-বন্দনা, কাজী নজরুল ইসলাম |
» | আমি চিরদুর্দম, দুর্বনীত, নৃশংস, মহা-প্রলয়ের আমি নটরাজ, আমি সাইক্লোন, আমি ধ্বংশ। | : |
কাজী নজরুল ইসলাম |
» | নীল নবঘনে আষাঢ় গগনে তিল ঠাঁই আর নাহিরে ওগো, আজ তোরা যাসনে ঘরের বাহিরে। ** | : |
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর |
» | তিরিশ বছর ভিজায়ে রেখেছি দুই নয়নের জলে। ** | : |
কবর, জসিমুদ্দিন |
» | তোমার সৃষ্টির পথ রেখেছ আকীর্ণ করি। ** | : |
শেষলেখা, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর |
» | বাঁচতে হলে লাঙ্গল ধর রে এবার এসে গাঁয়। | : |
গায়ের ডাক, শেখ ফজরূল করিম |
» | অভাগা যদ্যপি চায় সাগর শুকায়ে যায়- * | : |
মুকুন্দরাম |
» | হে বঙ্গ, ভান্ডারে তব বিবিধ রতন। তা সবে, (অবোধ আমি) অবহেলা করি, ** | : |
বঙ্গভাষা, মধুসূদন দত্ত |
» | আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে - *** | : |
অন্নদামঙ্গল, ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর |
» | যে জন দিবসে মনের হরষে জালায় মোমের বাতি *** | : |
মিতব্যয়িতা, কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার |
» | পাখি সব করে রব রাতি পোহাইল, কাননে কুসুম কলি সকলি ফুটিল।*** | : |
মদনমোহন তর্কালঙ্কারের |
» | সাত কোটি সন্তানের হে মুগ্ধ জননী, রেখেছ বাঙালী করে মানুষ করনি। *** | : |
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর |
» | স্বাধীনতা হীনতায় কে বাঁচিতে চায় হে- *** | : |
রঙ্গলাল মুখপাধ্যায় |
» | চিরসুখী জন ভ্রমে কি কখন ব্যথিত বেদন বুঝিতে পারে? *** | : |
সমব্যথী, কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার |
» | তোমাদের পানে চাহিয়া বন্ধু আর আমি জাগিব না কোলাহল করি সারা দিনমান কারো ধ্যান ভাঙিব না। * | : |
বাতায়ন পাশে গুবাক তরুর সারি, কাজী নজরুল ইসলাম |
» | যুদ্ধ মানে শত্রু শত্রু খেলা, যুদ্ধ মানেই আমার প্রতি তোমার অবহেলা- * | : |
নির্মলেন্দু গুন |
» | আমার দেশের পথের ধুলা খাটি সোনার চাইতে খাঁটি *** | : |
সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত |
» | আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রানের পতাকা।- | : |
শামসুর রাহমান |
» | বিপদে মোরে রক্ষা কর এ নহে মোর প্রার্থনা বিপদে আমি না যেন করি ভয় *** | : |
আত্মত্রাণ, রবীন্দ্রনাথের ঠাকুর |
» | রক্ত ঝরাতে পারি না তো একা, তাই লিখে যাই এ রক্ত লেখা- | : |
কাজী নজরুল ইসলাম |
» | বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই আমি পৃথিবীর রূপ দেখিতে চাই না আর- *** | : |
জীবনানন্দ দাশের |
» | বাঁশ বাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ঐ - *** | : |
যতীন্দ্রমোহন বাগচী |
» | ক্ষুধার রাজ্য পৃথিবী গদ্যময় পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি- *** | : |
সুকান্ত ভট্টাচার্য |
» | মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীর পাতন- ** | : |
ভারতচন্দ্র রায় গুনাকর |
» | প্রীতি ও প্রেমের পূন্য বাধনে যবে মিলি পরস্পরে, স্বর্গে আসিয়া দাঁড়ায় তখন আমাদেরি কুঁড়ে ঘরে। ** | : |
স্বর্গ ও নরক, শেখ ফজলূল করিম |
» | জন্মেছি মাগো তোমার কোলেতে মরি যেন এই দেশে। *** | : |
জন্মেছি এই দেশে, সুফিয়া কামাল |
» | কত গ্রাম কত পথ যায় সরে সরে, শহরে রানার যাবেই পৌঁছে ভোরে। | : |
রানার, সুকান্ত ভট্টাচার্য |
» | বাবুই পাখিরে ডাকি, বলিছে চড়াই, কুড়ে ঘরে থেকে কর শিল্পের বড়ােই, আমি থাকি মহাসুখে অট্টালিকা পরে তুমি কত কষ্ট পাও রোদ, বৃষ্টি, ঝড়ে। - *** | : |
স্বাধীনতার সুখ, রজনীকান্ত সেন |
» | সংসারেতে ঘটিলে ক্ষতি লভিলে শুধু বঞ্চনা নিজের মনে না যেন মানি ক্ষয়- ** | : |
আত্মত্রান, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর |
» | মহাজ্ঞানী মহাজন, যে পথে করে গমন হয়েছেন প্রাতঃস্মরনীয়।- | : |
জীবন- সঙ্গীত, হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় |
» | সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে মোরা পরের তরে।- *** | : |
সুখ, কামিনী রায় |
» | আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে এই বাংলায় হয়তো মানুষ নয় হয়তো বা শঙ্খচিল শালিকের বেশে।- *** | : |
আবার আসিব ফিরে, জীবনানন্দ দাশ |
» | হাজার বছর ধরে আমি পথ হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে সিংহল সমুদ্র থেকে নিশীদের অন্ধকারে মালয় সাগরে- | : |
বনলতা সেন, জীবনানন্দ দাশ |
» | সব পাখি ঘরে আসে সব নদী ফুরায় এ জীবনের সব লেন দেন; থাকে শুধু অন্ধকার- *** | : |
বনলতা সেন, জীবনানন্দ দাশ |
» | আমি যদি হতাম বনহংস বনহংসী হতে যদি তুমি- | : |
আমি যদি হতাম, জীবনানন্দ দাস |
» | পরের কারণে স্বর্থ দিয়া বলি, এ জীবন মন সকলি দাও, তার মত সুখ কোথাও কি আছে? ** | : |
সুখ, কামিনী রায় |
» | করিতে পারি না কাজ সদা ভয় সদা লাজ, সংশয়ে সংকল্প সদা টলে, পাছে লোকে কিছু বলে। ** | : |
পাছে লোকে কিছু বলে, কামিনী রায় |
» | ধনধান্যে পুষ্পে ভরা আমাদের এই বসুন্ধরা তাহার মাঝে আছে দেশ এক-সকল দেশের সেরা? *** | : |
ধনেধান্যে পুষ্পে ভরা, দ্বিজেন্দ্রলাল রায় |
» | বহু দেশে দেখিয়াছি বহু নদ-দলে, কিন্তু এ স্নেহের তৃষ্ণা মিটে কার জলে? * | : |
কপোতাক্ষ নদ, মাইকেল মধুসূদন দত্ত |
» | আপনারে লয়ে বিব্রত রহিতে আসি নাই কেহ অবনী পরে, সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে আমরা পরের তরে। ** | : |
পরার্থে, কামিনী রায় |
» | আজি হতে শতবর্ষ পরে কে তুমি পড়িছ বসি আমার কবিতাখানি? *** | : |
১৪০০ সাল, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর |
» | হে কবি, নীরব কেন ফাল্গুন যে এসেছে ধরায়, বসন্তে বরিয়া তুমি ল’বে না কি তব বন্দনায়? *** | : |
তাহারেই পড়ে মনে, বেগম সুফিয়া কামাল |
» | জীবে প্রেম করে যেইজন, সেইজন সেবিছে ঈশ্বর।** | : |
স্বমী বিবেকানন্দ |
» | নানান দেশের নানান ভাষা, বিনে স্বদেশী ভাষা পুরে কি আশা? *** | : |
স্বদেশী ভাষা, রামনিধি গুপ্ত |
» | কত গ্রাম কত পথ যায় সরে সরে, শহরে রানার যাবেই পৌঁছে ভোরে। | : |
রানার, সুকান্ত ভট্টাচার্য |
» | এসেছে নতুন শিশু, তাকে ছেড়ে দিতে হবে স্থান, জীর্ণ পৃথিবীতে ব্যর্থ, মৃত ধ্বংসস্তূপ-পিঠে চলে যেতে হবে আমাদের। ** | : |
ছাড়পত্র, সুকান্ত ভট্টাচার্য |
» | জন্মিলে মরিতে হবে, অমর কে কোথা হবে। | : |
মাইকেল মধুসূদন দত্ত |
» | থাকব নাক বদ্ধ ঘরে দেখব এবার জগৎটাকে কেমন করে ঘুরছে মানুষ যুগান্তরের ঘূর্ণিপাকে। *** | : |
সংকল্প, কাজী নজরুল ইসলাম |
» | আপনাকে বড় বলে বড় সেই নয়, লোকে যারে বড় বলে বড় সেই হয়। ** | : |
বড় কে, ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত |
» | কোন দেশেতে তুরুলতা সকল দেশের চাইতে শ্যামল? কোন দেশেতে চলতে গেলেই দলতে হয়রে দুর্বা কমল? | : |
কোন দেশে, সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত |
» | দেবতারে যাহা দিতে পারি, দিই তাই প্রিয়জনে, প্রিয়জনে যাহা দিতে পাই তাই দেব দেবতারে। ** | : |
বৈষ্ণব কবিতা, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর |
» | মাগো, ওরা বলে, সবার কথা কেড়ে নেবে, তোমার কোলে শুয়ে গল্প শুনতে দেবেনা বল, মা। ** | : |
কোন এক মা-কে, আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ |
» | মার চোখে নেই অশ্রু কেবল অনলজ্বলা, দু’চোখে তার শত্রু হননের আহ্বান। | : |
শহীদ স্মরণে, মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান |
» | কবি সে, ছবি আঁকার অভ্যাস ছিল না ছোট বয়সে, অথচ শিল্পী বলে সে-ই পেল শ্রেষ্ঠ শিল্পিদের সম্মান। | : |
এক যে ছিল, সুকান্ত ভট্টাচার্য |
» | জোটে যদি মোটে একটি পয়সা খাদ্য কিনিও ক্ষুধার লাগি, দুটি যদি জোটে ফুল কিনে নেও হে অনুরাগী। ** | : |
সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত |
» | হে দারিদ্র, তুমি মোরে করেছ মহান। তুমি মোরে দানিয়াছ খ্রীস্টের সম্মান কণ্টক মুকুট শোভা। *** | : |
দারিদ্র্য, কাজী নজরুল ইসলাম |
» | এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার। *** | : |
ছাড়পত্র, সুকান্ত ভট্টাচার্য |
» | মহাজ্ঞানী মহাজন, যে পথে করে গমন হয়েছেন প্রাতস্মরণীয়। | : |
জীবন সঙ্গীত, হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় |
» | ওরে নবীন ওরে আমার কাঁচা, ওরে সবুজ, ওরে অবুঝ, আধ-মরাদের ঘা মেরে তুই বাঁচা। ** | : |
সবুজের অভিযান, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর |
» | এই বাঙলায় তোমাকেই আসতে হবে, হে স্বাধীনতা। *** | : |
তোমাকে পাওয়ার জন্যে হে স্বাধীনতা, শামসুর রহমান |
» | তোমার মুখের দিকে আজ আর যায় না তাকানো, বর্ণমালা, আমার দুঃখিনী বর্ণমালা। * | : |
বর্ণমালা আমার দুঃখিনী বর্ণমালা, শামসুর রহমান |
» | কেন পান্থ ক্ষান্ত হও হেরি দীর্ঘ পথ, উদ্যম বিহনে কার পুরে মনোরথ। কাঁটা হেরি ক্ষন্ত কেন কমল তুলিতে দুঃখ বিনা সুখ লাভ হয় কি মহিতে? *** | : |
কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার |
» | মরিতে চাহিনা আমি সুন্দর ভুবনে, মানবের মাঝে আমি বাঁচিবারে চাই। *** | : |
কড়ি ও কোমল, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর |
» | জন্মেছি মাগো তোমার কোলেতে মরি যেন এই দেশে। ** | : |
জন্মেছি এই দেশে, সুফিয়া কামাল |
» | তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বধীনতা তোমাকে পাওয়ার জন্যে, আর কতবার ভাসতে হবে রক্ত গঙ্গায়? *** | : |
শামসুর রহমান |
» | যে সব বঙ্গেতে জন্মি হিংসে বঙ্গবাণী। যে সব কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি। *** | : |
বঙ্গবাণী, আবদুল হাকিম |
» | এনেছিলে সাথে করে মৃত্যুহীন প্রাণ, মরণে তাহাই তুমি করে গেলে দান। | : |
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর |
» | কবিতায় আর কি লিখব? যখন বুকের রক্তে লিখেছি একটি নাম বাংলাদেশ। | : |
শহীদ স্মরণে, মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান |
» | বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই আমি পৃথিবীর রূপ দেখিতে চাই না আর। * | : |
বনলতা সেন, জীবনানন্দ দাশ |
» | আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে এই বাংলায়, মানুষ নয় হয়তো বা শঙ্খচিল শালিখের বেশ। *** | : |
আবার আসিব ফিরে, জীবনানন্দ দাশ |
» | নাই কিরে সুখ? নাই কিরে সুখ? এ ধরা কি শুধু বিষাদময়? যাতনে জ্বলিয়া কাঁদিয়া মরিতে কেবলি কি নর জনম লয়? | : |
কামিনী রায় |
» | কাণ্ডারী এ তরীর পাকা মাজি মাল্লা, দাঁড়ি মুখে সারি গান লা শরীক আল্লাহ। | : |
খেয়াপারের তরণী, কাজী নজরুল ইসলাম |
» | গাহি তাহাদের গান বিশ্বের সাথে জীবনের পথে যারা আজি আগুয়ান। | : |
কাজী নজরুল ইসলাম |
» | সুখের লাগিয়া এ ঘর বাঁধিনু অনলে পুড়িয়া গেল। | : |
সুখের লাগিয়া এ ঘর বাঁধিনু, জ্ঞান দাস |
» | স্বধীনতা হীনতায় কে বাঁচিতে চায় হে, কে বাঁচিতে চায়? দাসত্ব শৃঙ্খল বল কে পরিবে পায়। *** | : |
স্বাধীনতা, রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায় |
» | কতরূপ স্নেহ করি, দেশের কুকুর ধরি, বিদেশের ঠাকুর ফেলিয়া। | : |
ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত |
» | কেমনে ধরিব হিয়া? আমার বধূয়া আন বাড়ি যায় আমার আঙিনা দিয়া। *** | : |
চণ্ডীদাস |
» | হা পুত্র! হা বীরবাহু! বীরেন্দ্র- কেশরী। কেমনে ধরিব প্রাণ তোমার বিহনে? | : |
সমুদ্রের প্রতি রাবণ, মাইকেল মধুসূদন দত্ত |
» | বন্ধু তোমরা ছাড় উদ্বেগ, সূতীক্ষ্ম কর চিত্ত, বাংলার মাটি দুর্জয় ঘাঁটি বুঝে নিক দুর্বৃত্ত। | : |
উদ্যোগ, সুকান্ত ভট্টাচার্য |
» | শুনহ মানুষ ভাই সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই। *** | : |
চণ্ডীদাস |
» | সাহেব কহেন, চমৎকার! সে চমৎকার! মোসাহেব বলেন, চমৎকার সে হতেই হবে যে, হুজুরের মতে অমত কার? | : |
তোষামোদ, কাজী নজরুল ইসলাম |
» | মম এক হাতে বাঁকা বাঁশের বাঁশরী আর হাতে রণ-তুর্য * | : |
বিদ্রোহী, কাজী নজরুল ইসলাম |
» | তুমি মাস্তুলে, আমি দাঁড় টানি ভুলে; সম্মুখে শুধু অসীম কুয়াশা হেরি। | : |
পাঞ্জেরী, ফররুখ আহমদ |
» | শোন মা আমিনা, রেখে দেরে কাজ, ত্বরা করে মাঠে চল, এল মেঘনার জোয়ারের বেলা, এখনি নামিবে ঢল। | : |
মেঘনার ঢল, হুমায়ুন কবির |
» | আমার মায়ের সোনার নোলক হারিয়ে গেল, শেষে হেথায় খুঁজি সেথায় খুঁজি সারা বাংলাদেশে। * | : |
নোলক, আল মাহমুদ |
» | দেশী ভাষা বিদ্যা যার মনে ন জুড়ায় নিজ দেশ ত্যাগী কেন বিদেশ ন যায় *** | : |
আবদুল হাকিম |
» | আমাদের স্বপ্ন হোক ফসলের সুষম বণ্টন * | : |
সমর সেন |
» | একখানি ছোট খেত, আমি একেলা, কুলে এক বসে আছি নাহি ভরসা।** | : |
সোনার তরী, রবন্দ্রিনাথ ঠাকুর |
» | ওরা আমার মুখের ভাষা কাইড়া নিতে চায়। ** | : |
আব্দুল লতিফ |
» | সব ক’টি জানালা খুরে দাও না। *** | : |
নজরুল ইসলাম বাবু |
» | বাশরি আমার হারিয়ে গেছে বালুর চরে, কেমনে পশিব গোধন লইয়া গোয়াল ঘরে। | : |
জসীমউদ্দীন |
» | আমরা সবাই রাজা আমাদের এই রাজার রাজত্বে। | : |
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর |
» | আমরা হিন্দু বা মুসলমান যেমন সত্য, তার চেয়ে বেশি সত্য আমরা বাঙালি। * | : |
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ |
» | কেউ মালা, কেউ তসবি গলায়, তাইতো জাত ভিন্ন বলায়। | : |
লালন শাহ |
» | কাটা কুঞ্জে বসি তুই গাঁথিবি মালিকা দিয়া গেনু ভালে তোর বেদনার টিকা। * | : |
কাজী নজরুল ইসলাম |
» | বউ কথা কও, বউ কথা কও। কও কথা অভিমানিনী, সেধে সেধে কেঁদে কেঁদে যাবে কত যানিনী। | : |
কাজী নজরুল ইসলাম |
» | যেখানে ফ্রি থিংকিং নেই সেখানে কালচারে নেই। | : |
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর |
» | কে হায় হৃদয় খুড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে। | : |
বিষ্ণু দে |
» | ভাষা মানুষের মুখ থেকে কলমের মুখে আসে, উল্টোটা করতে গেলে মুখে শুধু কালি পড়ে। ** | : |
প্রমথ চৌধুরী |
» | সন্ধারাগে ঝিলিমিলি ঝিলমের স্রোতখানি বাঁকা। ** | : |
বলাকা, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর |
» | রুপ লাগি আখি ঝুরে শুনে মন ভোর। ** | : |
জ্ঞানদাস |
» | শিশুরাজ্যে এই মেয়েটি একটি ছোটখাট বর্গির উপদ্রব বলিলেই হয়। *** | : |
সমাপ্তি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর |
» | খাঁচার ভিতর অচিন পাখি কেমনে আসে যায় | : |
লালন ফকির |
» | বুকের রক্ত দিয়া আমাকে যে একদিন দ্বিতীয় সীতাবিসর্জনের কাহিনী লিখতে হইবে সে কথা কে জানিত।** | : |
হৈমন্তী, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর |
» | জন্মই আমার আজন্ম পাপ। ** | : |
দাউদ হায়দার |
» | এতটুকু তারে ঘরে এনেছিনু সোনার মতন মুখ, পুতুলের বিয়ে ভেঙে গেল বলে কেঁদে ভাসাইত বুক। *** | : |
কবর, জসীমউদ্দীন |
» | গগনে গরজে মেঘ, ঘন বরষা। কূলে একা বসে আছি, নাহি ভরসা। *** | : |
সোনার তরী, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর |
» | জালি লাউয়ের ডগার মতোন বাহু দু’খান সরু * | : |
রূপাই, কাজী নজরুল ইসলাম |
» | আমি কি ডরাই সখি ভিখারী রাঘবে? (রামকে লক্ষ করে রাবণের উক্তি)*** | : |
মেঘনাদ বদ, মাইকেল মধুসূদন দত্ত |
» | পথিক, তুমি পথ হারাইয়াছ? (নবকুমারকে বলে কপালকুণ্ডলা )*** | : |
কপালকুণ্ডলা, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় |
» | মানুষের প্রতি বিশ্বাস হারানো পাপ। ** | : |
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর |
» | আপন ঘরে বোজাই সোনা, পরে করে লেনা দেনা। | : |
লালন ফকির |
» | কোন কালে একা হয় নিক জয়ী পুরুষের তরবারী, প্রেরণা দিয়েছে শক্তি দিয়েছে বিজয় লক্ষ্মী নারী। ** | : |
কাজী নজরুল ইসলাম |
» | দিণ্ডিতের সাথে দণ্ড দাতা কাঁদে যবে সমান আঘাতে সর্বশ্রেষ্ঠ সে বিচার। * | : |
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর |
» | আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি। *** | : |
আবদুল গাফফার চৌধুরী |
» | আমাদের দেশে সেই ছেলে হবে কবে, কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে। *** | : |
কুসুমকুমারী দেবী |
» | নিশি অবসান প্রায়, ওই পুরাতন বর্ষগত। বন্ধু হও, শত্রু হও, যেকানে যে কেহ রও, ক্ষমা করো আজিকার মতো, পুরাতন বরষের সাথে পুরাতন অপরাধ যত। | : |
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর |
» | প্রীতি ও প্রেমের পুণ্য বাঁধনে যবে মিলি পরস্পরে স্বর্গ আসিয়া দাঁড়ায় তখন আমাদের কুঁড়ে ঘরে। *** | : |
শেক ফজলল করিম |
» | মরিতে চাহিনা আমি সুন্দর ভুবনে মানবের মাঝে আমি বাঁচিবারে চাই। *** | : |
কড়ি ও কোমল, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর |
» | কাঁটা হেরি ক্ষান্ত কেন কমল তুলিতে দুঃখ বিনা সুখ লাভ হয় কি মহীতে? ** | : |
কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার |
» | ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়, পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি। *** | : |
সুকান্ত ভট্টাচার্য |
» | বড়র পিরীতি বালির বাঁধ, ক্ষণে হাতে দড়ি ক্ষণেক চাঁদ। *** | : |
ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর |
» | এ ভরা বাদর মাহ ভাদর শূন্য মন্দির মোর। *** | : |
বিদ্যাপতি |
» | কুমড়ো ফুলে ফুলে নুয়ে পড়েছে লতাটা, সজনে ডাটায় ভরে গেছে গাছটা, আর আমি ডালের বড়ি শুকিয়ে রেকেছি খোকা তুই কবে আসবি। * | : |
আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ |
» | কৃষ্ণার সৈকতে ক্ষুদ্র শ্যামল প্রান্তরে বসি বৃদ্ধ বালানাথ কাঁদিছে নীরবে। | : |
কায়কোবাদ |
» | কিন্তু মঙ্গল আলোকে আমার শুভ উৎসব উজ্জ্বল হইয়া উঠিল। ** | : |
কাবুলিওয়ালা, রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর |
Copyright © Sabyasachi Bairagi
|