বাংলাদেশের মৎস সম্পদ
|
||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
» বাংলাদেশের মিঠা পানির মাছ নিয়ে ১৮২২ খ্রিষ্টাব্দে ফ্রান্সিস হ্যামিলটন (Francis Hamilton) প্রথম গবেষণা শুরু করেছিলেন। » ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দে Rahman (রাহমান) ব্যাপক গবেষণার পর, বাংলাদেশের মিঠা পানির মাছের মধ্যে ৫৫টি গোত্রের অধীন ১৫৪টি গণের ২৬৫টি প্রজাতি তালিকাভূক্ত করেছিলেন। » ১. বাংলাদেশের নদ-নদী, খালবিল, পুকর, বিল, হাওড় প্রভৃতির মিষ্ঠি পানিতে (অলবণাক্ত অর্থে) যে সকল মাছ জন্মে বা পাওয়া যায় তাদেরকে মিঠা পানির মাছ বলে। » এই জাতীয় মাছগুলি হল- আইড়, ইলিশ, কই, কাচকি, কাতলা, কালিবাউস, খলিসা, গজার, চাঁদা, চিঙড়ি, চিতল, টাকি, ট্যাংড়া, দানকিনি, পাঙ্গাস, পাবদা, পুঁটি, বাইন, বোয়াল, মাগুর, মৃগেল, রুই, শোল, সরপুঁটি ইত্যাদি।
» ২. খাটি সামুদ্রিক বা লবণাক্ত মাছ : বাংলদেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় ভূভাগ বঙ্গোপসাগর দ্বারা বেষ্টিত। » বঙ্গোপসাগরে মাছকেই লোনা পানির মাছ বলা হয়। » এই শ্রেণীর মাছগুলির হলো- রূপচাঁদা, ছুরি, লাটিয়া ইত্যাদি। » ৩. মিশ্র পানির মাছ। » কিছু মাছ বঙ্গোপসাগরের লোনা পানিতে বা নদীর মিষ্টি পানিতে পাওয়া যায়। যেমন -ইলিশ। » বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ জলাশয়ে ২৬৫ প্রজাতির মিঠা পানির মাছ, ২৪ প্রজাতির মিঠা পানির চিংড়ি এবং ১২ প্রজাতির বিদেশি মাছ রয়েছে। » এর মধ্যে বেশ কিছু প্রজাতির মিঠা পানির মাছ ইতিমধ্যেই বিলীন হয়ে গেছে। » আমাদের সামুদ্রিক এলাকায় রয়েছে ৪৭৫ প্রজাতির মাছ, যার মধ্যে কেবল ৬৫ প্রজাতির মাছ আহরণযোগ্য। » তাছাড়া আছে ৩৬ প্রজাতির সামুদ্রিক চিংড়ি, ৩ প্রজাতির লবস্টার, ২৫ প্রজাতির কাছিম ও ১১ প্রজাতির কাঁকড়া। » বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ও সামুদ্রিক জলাশয় মৎস্য সম্পদে অত্যন্ত সমৃদ্ধ এবং এর জীব-বৈচিত্র্য অত্যন্ত বিস্তৃত।
|
||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
|
||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
Copyright © Sabyasachi Bairagi
|