বিশ্বের সীমা চিহ্নিতকরণ রেখা
|
|||
» ডুরান্ড লাইনঃ আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যকার চিহ্নিত সীমারেখাকে বলা হয় ডুরান্ড লাইন। » ১৮৯৩ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার পাক-আফগানিস্তান সীমানা নির্ধারণ করার জন্য স্যার মোটিমার ডুরান্ড এর নেতৃত্বে একটি কমিশন গঠন করেন। » কমিশন ১৮৯৬ সালে ভারত ও আফগানিস্তানের মধ্যে এ সীমারেখা চিহ্নিত করেন। » এ কমিশনের রিপোর্টের ভিত্তিতে ১৮৯৫ সালে ব্রিটেন ও আফগানিস্তানের মধ্য এক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। » চুক্তি অনুসারে ডুরান্ড লাইনের পশতুন উপজাতি অধ্যুষিত অঞ্চলগুলো ব্রিটিশ ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয় আর অন্য অংশ আফগান সরকারের শাসনাধীনে থেকে যায়। » পরবর্তীতে ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর পাকিস্তান ডুরান্ড লাইন বরাবর সীমান্তের উত্তরাধিকার লাভ করে। » এটি এখনো দেশ দুটির মধ্যকার সীমারেখা হিসেবে চিহ্নিত। » ১৯৪৯ সালে আফগানিস্তানের জাতীয় পরিষদ এ সীমারেকার ন্যায্যতা অস্বীকার করে। পাকিস্তান অবশ্য এ রেখাকে মেনে নিয়েছে।
» ম্যাকমোহন লাইনঃ ভারতের ৭০০ মাইলব্যাপী অরুনাচল প্রদেশ এবং তিব্বতের স্মরণ সিঁড়ি, সিয়াং ও লোহিত সীমান্ত জুড়ে অবস্থিত ম্যাকমোহন লাইন। » স্যার ম্যাকমোহন কর্তৃক ১৯১৪ সালে ভারত-তিব্বত চুক্তির আওতায় তিব্বত ও ভারতের মধ্যে সীমারেখা চিহ্নিত করেন। » চীন অরুনাচল প্রদেশকে ভারতের রাজ্য হিসেবে মেনে নিতে চায়নি। » তবে এখন অরুনাচল প্রদেশ ভারতের একটি অন্যতম প্রদেশ রূপে স্বীকৃতি পেয়েছে।
» ম্যাজিনো লাইনঃ জার্মান ফ্রান্সে সীমান্তে অবস্থিত ম্যাজিনো লাইন নির্মাণ করে তৎকালীন ফ্রান্স সরকার। » এটি মূলত একটি সুরক্ষিত ইলেকট্রনিক বেষ্টনী। » প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানি এ লাইন পর্যন্ত পশ্চাদপসরণ করেছিল। এটি তৈরির উদ্দেশ্য ছিল জার্মানিদের কাছ থেকে ফ্রান্সকে রক্ষা করা।
» ওডের-নিস লাইনঃ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানি ও পোল্যান্ডের মধ্য নিরুপিত সীমারেখার নাম ওডের-নিস লাইন। » দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন সময়ে জার্মানি পোল্যান্ড দখল করলে পরবর্তীতে ইয়াল্টা সম্মেলন এবং পোটসডাম সম্মেলনে ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়ন এ তিন মিত্রশক্তি পোল্যান্ডের সীমারেখা চিহ্নিত করে। » পোটসডাম সম্মেলনে সিদ্ধান্ত হয় যে, ওডার নদী রেখা বরাবর আরম্ভ করে পশ্চিম নীস নদীর সঙ্গমস্থল এবং পশ্চিম নীস নদীর বরাবর চেকোস্লোভাকিয়ার পূর্ব পর্যন্ত প্র্রাক্তন জার্মান ভূমিসমূহ পোল্যান্ডের শাসনাধীনে আসবে। » পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে জার্মান ও পোল্যান্ডের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিলেও লাইনটি এখনো দেশদুটির মধ্যকার সীমারেখা হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আসছে।
» ৩৮ তম অক্ষরেখাঃ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পূর্বে কোরিয়া দ্বীপটি জাপানের নিয়ন্ত্রণাধীন ছিল। » দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিলিত বাহিনী কোরিয়া দ্বীপ দখল করে নেয়। » পরে সোভিয়েত ইউনিয়নের রেড আর্মিরা উত্তর কোরিয়ার বিশাল অংশ এবং মার্কিন সেনাবাহিনী দক্ষিণ কোরিয়ার অংশে নিজেদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে। » দুই পরাশক্তি তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন অংশে নিজেদের ভাবধারাপুষ্ট সরকার গঠন করে এবং ৩৮ তম অক্ষরখা বরাবর করিয়াকে সমান্তরাল করে বিভক্ত করে। » তবে তা সত্ত্বেও ১৯৫০ সালে এ বিভক্তি অতিক্রম করেই দুই কোরিয়ার মধ্যে যুদ্ধ সংঘটিত হয়।
|
|||
সীমারেখা |
পৃথক করেছে | বিবরণ | |
» ম্যাজিনোলাইন *** |
জার্মান - ফ্রান্স | একটি সুরক্ষিত ইলেকট্রিক বেস্টনী জার্মান আক্রমণ থেকে কক্ষা পাবার জন্য ফ্রান্স এটি নির্মাণ করে | |
» জিগফ্রিড লাইন *** |
জার্মান - ফ্রান্স | এটি জার্মান কর্তৃক নির্মিত | |
» হিন্ডারবার্গ লাইন *** |
জার্মান - পোল্যান্ড | প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় মিত্রপক্ষ জার্মান বাহিনীকে এ রেখা পর্যন্ত পিছু হটতে বাধ্য করেছিল | |
» ওডেরনিস লাইন *** |
জার্মান - পোল্যান্ড | দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর মিত্রশক্তি পরাজিত জার্মানি ও পোল্যান্ডের মধ্যে এ সীমারেখা নির্দিষ্ট করে | |
» কার্জন লাইন *** |
পোল্যান্ড - সোভিয়েত | ১৯১৯-১৯২০ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়ে চিহ্নিত সীমারেখা | |
» ফচ লাইন *** |
পোল্যানড - লিথুয়ানিয়া | প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় নর্মিত | |
» মিলিটারী ডিমারকেশন লাইন *** |
উত্তর কোরিয়া - দক্ষিণ কোরিয়া | কোরিয়া যুদ্ধের (১৯৫০ -১৯৫৩) সময় চিহ্নিত সীমারেখা | |
» নর্দান লিমিট লাইন *** |
উত্তর কোরিয়া - দক্ষিণ কোরিয়া | পীত সাগরে দুই কোরিয়ার মধ্য চিহ্নিত সীমারেখা | |
» ম্যানারহেইম লাইন *** |
রাশিয়া - ফিনল্যান্ড | জেনারেল ম্যানারহেইম কর্তৃক নির্মিত সুরক্ষিত সীমানা | |
» হট লাইন *** |
ক্রেমলিন (রাশিয়া) - হোয়াইট হাউস (ইউএসএ) | সরাসরি টেলিফোন লাইন, কোন আকস্মিক যুদ্ধ এরানোর জন্য দু’পক্ষের আলোচনার সুবিধার্থে এ লাইন চালু করা হয় | |
» ডুরান্ড লাইন *** |
ভারত - আফগানস্তান বর্তমান পাকিস্তান - আফগানিস্তান |
১৮৯৬ সালে স্যার হেনরি মর্টিমার ডুরান্ড কর্তৃক চিহ্নিত সীমারেখা | |
» ম্যাকমোহন লাইন *** |
ভারত - তিব্বত (চিন) | স্যার ম্যাকমোহন এ সীমানা নির্মাণ করেণ | |
» র্যাডক্লিফ লাইন *** |
ভারতর - মিয়ানমার/ পাকিস্তান/ বাংলাদেশ বাংলাদেশ - মিয়ানমার |
১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের সময় স্যার সাইরিল র্যাডক্লিফ কর্তৃক চিহ্নিত সীমারেখা | |
» লাইন অব কন্ট্রোল (LOC)*** |
ভারত - পাকিন্তান | কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা | |
» লাইন অব একচুয়াল কন্ট্রোল *** |
ভারত - চীন | ভারত এবং চীনের সীমান্তবর্তী রেখা | |
» লাইন অব ডিমারকেশন *** |
পর্তুগাল - স্পেন | পর্তুগাল ও স্পেনের মধ্যে বিভক্তারী সীমারেখা | |
» প্লিমসল লাইন *** |
জাহাজ | এটি জাহাজের গায়ে চিহ্নিত দাগ যা দ্বারা কতটুকু তলিয়েছে জানা যায় | |
» ওয়ালেস লাইন *** |
এশিয়া - অস্ট্রেলিয়া | একটি কাল্পনিক রেখা | |
» ট্রারলেভ লাইন *** |
ইসরাইল - প্রতিবেশী দেশ | এটি ইসরাইলীদের ম্যাঞ্জিসো লাইন নামে পরিচিত এটি বিশ্বের অন্যতম রক্ষাব্যুহ | |
» গ্রীন লাইন *** |
গ্রীক - তুর্কী / সাইপ্রাস | ১৯৪৮ সালে আরব-ইসরাইল যুদ্ধের সময় ইসরাইল কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত সীমান্তরেখা | |
» পার্পল লাইন *** |
ইসরাইল - সিরিয়া | ১৯৬৭ আরব-ইসরাইল যুদ্ধের সময় প্রতিষ্ঠিত সীমারেখা | |
» ব্লু লাইন ** |
ইসরাইল - লেবানন | ইসরাইল ও লেবাননকে বিভক্তকারী সীমারেকা | |
» ম্যাকনামারা লাইন *** |
উত্তর ও দক্ষিণ ভিয়েতনাম | যুক্তরাষ্ট্রো কর্তৃক নির্মিত সুরক্ষিত বৈদ্যুতিক বেষ্টনী দু’ই ভিয়েতনাম এক হওয়ার পর এখন এর আর অস্তিত্ব নেই | |
» আলপাইন লাইন * |
ইতালি - ফ্রান্স | ইতালি ও ফ্রান্সকে বিভক্তকারী সীমারেকা | |
» বারলেভ লাইন * |
ইসরাইলে অবস্থিত পৃতিবীর অন্যতম সুরক্ষিত প্রতিরক্ষা ব্যূহ | ||
» সনোরা লাইন *** |
মেক্সিকো - যুক্তরাষ্ট্র | মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্রকে বিভক্তকারী সীমারেকা | |
» ১ ° অক্ষরেখা * |
নিরক্ষীয় গিনি - গ্যাবন | ১ ° তম উত্তর অক্ষরেখা বরাবর চিহ্নিত সীমারেখা | |
» ৮ ° অক্ষরেখা |
সোমালিয়া - ইথিওপিয়া | ৮° তম উত্তর অক্ষরেখা বরাবর চিহ্নিত সীমারেখা | |
» ১০° অক্ষরেখা |
গিনি - সিয়েরা লিওন | ১০ °তম উত্তর অক্ষরেখা বরাবর চিহ্নিত সীমারেখা | |
» ১৭° অক্ষরেখা ** |
উত্তর - দক্ষিণ ভিয়েতনাম | ভিয়েতনাম যুদ্ধ অবসানের পর নির্মিত সীমারেখা | |
» ২০° অক্ষরেখা |
লিবিয়া - সুদান | ২০° তম উত্তর অক্ষরেখা বরাবর চিহ্নিত সীমারেখা | |
» ২২° অক্ষরেখা |
মিশর - সুদান | ২২° তম উত্তর অক্ষরেখা বরাবর চিহ্নিত সীমারেখা | |
» ২৪° অক্ষরেখা *** |
ভারত - পাকিস্তান | পাকিস্তান গ্রহণ করলেও ভারত এ সীমানা মেনে নেয়নি | |
» ২৫° অক্ষরেখা |
মৌরিতানিয়া - মালি | ২৫° তম উত্তর অক্ষরেখা বরাবর চিহ্নিত সীমারেখা | |
» ২৬° অক্ষরেখা |
পশ্চিম সাহারা - মরক্কো-মৌরিতানিয়া | ২৫° তম উত্তর অক্ষরেখা বরাবর চিহ্নিত সীমারেখা | |
» ৩১° অক্ষরেখা |
ইরান - ইরাক | ৩১° তম উত্তর অক্ষরেখা বরাবর চিহ্নিত সীমারেখা | |
» ৩২° অক্ষরেখা |
ইরাক | ৩২° তম উত্তর অক্ষরেখা বরাবর ইরাকের দক্ষিণে নো ফ্লই জোন | |
» ৩৬ অক্ষরেখা |
ইরাক | ৩৬° তম উত্তর অক্ষরেখা বরাবর ইরাকের উত্তরে নো ফ্লাই জোন | |
» ৩৮° অক্ষরেখা *** |
উত্তর - দক্ষিণ করিয়া | দুই করিয়া বিভক্তির সময় পরাশক্তির মধ্য ৩৮ অক্ষরেখা বরাবর চিহ্নিত সীমারেখা | |
» ৪৫° অক্ষরেখা ** |
কানাডা - যুক্তরাষ্ট্র | ৪৫° তম উত্তর অক্ষেরেখা বরাবর চিহ্নিত সীমারেখা | |
» ৪৯° অক্ষরেখা ** |
কানাডা - যুক্তরাষ্ট্র | ৪৯° তম অক্ষরেখা বরাবর চিহ্নিত সীমারেখা | |
» ১° দক্ষিণ অক্ষরেখা |
উগান্ড - তাঞ্জনিয়া/ কেনিয়া - তাঞ্জানিয়া | ১° তম দক্ষিণ অক্ষারেখা বরাবর চিহ্নিত সীমারেখা | |
» ৭° তম দক্ষিণ অক্ষরেখা |
কঙ্গো-অ্যাঙ্গোলা | ৭° তম দক্ষিণ অক্ষরেখা বরাবর চিহ্নিত সীমারেখা | |
» ৮° তম দক্ষিণ অক্ষরেখা |
কঙ্গো - অ্যাঙ্গলা | ৮° তম দক্ষিণ অক্ষরেখা বরাবর চিহ্নিত সীমারেখা | |
» ১০° তম দক্ষিণ অক্ষরেখা |
ব্রাজিল - পেরু | ১০° তম দক্ষিণ অক্ষরেখা বরাবর চিহ্নিত সীমারেখা | |
» ১৩ °তম দক্ষিণ অক্ষরেখা |
আ্যাঙ্গলা - জাম্বিয়া | ১৩ °তম দক্ষিণ অক্ষরেখা বরাবর চিহ্নিত সীমারেখা | |
» ১৬° তম দক্ষিণ অক্ষরেখা |
মোজাম্বিক - জিম্বাবুয়ে | ১৬° তম দক্ষিণ অক্ষরেখা বরাবর চিহ্নিত সীমারেখা | |
» ২২° তম দক্ষিণ অক্ষরেখা |
নামিবিয়া - বতসোয়ানা বলিভিয়া - আর্জেন্টিনা |
২২° তম দক্ষিণ অক্ষরেখা বরাবর চিহ্নিত সীমারেখা | |
» ৪৫° তম দক্ষিণ অক্ষরেখা |
ইকুয়েডর - দক্ষিণ মেরু | ৪৫° তম দক্ষিণ অক্ষরেখা বরাবর চিহ্নিত সীমারেখা | |
» ৫২° তম দক্ষিণ অক্ষরেখা |
আর্জেন্টিনা - চিলি | ৫২° তম দক্ষিণ অক্ষরেখা বরাবর চিহ্নিত সীমারেখা | |
Copyright © Sabyasachi Bairagi
|